আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেয়ে পাশের পাড়ারই এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করত, তার সঙ্গে দিল্লিও চলে গিয়েছিল। মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছিল, কিন্তু তারপরেই বাবা যা করল, শিউরে উঠছেন আত্মীয়-পরিজন।

ঘটনাস্থল বিহারের সমস্তিপুর। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২৫ বছরের সাক্ষীকে ৭ এপ্রিল খুন করেছে তার বাবা। খুনের পর মেয়ের দেহ ঘরের একটি শৌচাগারে ফেলে রাখে। বুধবার রাতে সাক্ষীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত, সাক্ষীর বাবার নাম মুকেশ সিং। 

সাক্ষীর মামা, বিপিন জানিয়েছেন, সাক্ষী মার্চ মাসে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে দিল্লি চলে গিয়েছিলেন। তাঁরা কলেজেও একসঙ্গেই পড়তেন। প্রেমিক ভিন-জাতির ছিলেন বলেও জানান সাক্ষীর মামা। গোটা ঘটনায় প্রবল আপত্তি ছিল বাবার।

সপ্তাহখানেক আগে মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে সে। তখনও কেউ ঘুণাক্ষরে টের পেননি, ঘটতে চলেছে কী ভয়াবহ ঘটনা। বাড়ি ফেরার দিনকয়েক পরে সাক্ষীর আর দেখা মেলেনি। তাঁর মা জিজ্ঞাসা করলে মুকেশ উত্তর দেয়, মেয়ে আবার পালিয়েছে। যদিও মায়ের মনে সন্দেহ জাগে। তার পরেই পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি। তদন্তে নেমে সাক্ষীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।